নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। সম্প্রতি তিস্তার পানি বেড়ে গেলে ডিজিটাল ব্যবস্থায় তিন হাজার স্থানীয় মানুষকে পূর্বাভাস মেসেজ দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপে দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল রেখেছে।’
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গ্রিনরোডে পানিভবনে ‘ডিজিটাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্য প্রযুক্তিলব্ধ জ্ঞানের বাস্তব প্রতিফলন আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য সুখি, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এবং ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি সহায়ক শক্তির নাম।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে বিএনপি আগে টিপ্পনী কাটতো। কিন্তু আজ ডিজিটাল ব্যবস্থায় হাওরসহ সব এলাকায় আমরা সঠিক পূর্বাভাস পাঠাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্যে সারাদেশের জন্য সমন্বিত ডিজিটাল পূর্বাভাস ব্যবস্থা শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপসচিব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।
এছাড়াও এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের মহাসচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট উশি মাতিয়াস বক্তব্য রাখেন। এসময় মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সব সংস্থান প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘করোনাকালে ৭২ লক্ষ মানুষ টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ প্লাবন সমভূমিতে বাস করে। তাই এই পূর্বাভাস ব্যবস্থা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সাহায্য করবে।’
বিএসডি /আইপি