নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত, চারুকলা ও শারীরিক শিক্ষা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় বিষয়ে বই থাকলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ধর্মীয় শিক্ষকের কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি। ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করা ফ্যাসিবাদের অনুসরণ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের সম্পাদক এবং জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।
এবিএম জাকারিয়া বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার ধর্ম শিক্ষাকে সংকুচিত করেছে, ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই-অভ্যুত্থানের পরেও এই বৈষম্য বাংলাদেশের শিক্ষক অভিভাবক ও ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার নতুন কারিকুলামের নামে ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকার জাতীয়করণ করলেও ইসলাম ফোবিয়ার কারণে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার জাতীয়করণ করেনি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. প্রভাষক আব্দুস সবুর, সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা আহসানুল্লাহ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আর আই এম অহিদুজ্জামান, ড. মাসুম রব্বানী আজহারী, প্রফেসর শিহাব উদ্দিন মোল্লা, মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, কে এম জাহিদ তিতুমীর ও আলতাব হোসেন গাজী প্রমুখ।