লাইফস্টাইল ডেস্ক,
খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে যেমন শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই প্রোটিনের অভাবে নানান জটিলতার সৃষ্টিও হতে পারে। তাই প্রোটিন নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নিই প্রোটিনের ঘাটতির হলে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে-
১) এডিমা বা ফোলা ভাব
এটি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির একটি সাধারণ লক্ষণ। এক্ষেত্রে হাত, পা ও পায়ের পাতায় ফোলা ভাব লক্ষ্য করা যায়। কারণ পর্যাপ্ত প্রোটিন না খেলে টিস্যুতে তরল জমে। ফলে শরীরের অন্যান্য অংশে অস্বাভাবিক ফোলা লক্ষ্য করা যায়।
২) ক্লান্তি ভাব
শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, পেশী এবং চলাফেরায় প্রভাব পড়তে পারে। প্রোটিন পেশী এবং টিস্যুগুলোকে মেরামত করতে সহায়তা করে। তাই সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এটি মেটাবোলিজমেও প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে দেহে ক্লান্তি দেখা দেয়।
৩) ত্বক, চুল এবং নখের সমস্যা
প্রোটিন আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক, নখ ভেঙে যাওয়া, চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) খিদে বেড়ে যাওয়া
প্রোটিন হল শরীরের প্রধান জ্বালানি। এটি শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করেন, তবে খিদা বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যাবে। সঙ্গে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাও অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
৫) ফ্যাটি লিভার
প্রোটিনের ঘাটতির আরও একটি সাধারণ লক্ষণ হল, ফ্যাটি লিভার। এর ফলে লিভারের কোষগুলিতে ফ্যাট জমা হয়। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৬) পেশী ভর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
পেশীর বেশিরভাগই প্রোটিন দ্বারা গঠিত। তাই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে, পেশীর গঠন ব্যাহত হয়। পেশী ভর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আসলে, প্রোটিনের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম।
৭) হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়
প্রোটিন হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে ফ্র্যাকচার বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
৮) সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
প্রোটিনের ঘাটতি, অপুষ্টির অন্যতম লক্ষণ। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের অভাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে নানান রকম সংক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
বিএসডি/এমএম