নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সময় এসেছে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করার। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। ফায়ার সেফটি বিষয়ে আমরা এলাকাভিত্তিক নির্দেশনা অনুযায়ী ডেট (তারিখ) দিয়ে দেব। এরমধ্যে সবাইকে ফায়ার সেফটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় সেই মার্কেট আমরা বন্ধ করে দেব।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে গুলশান নগরভবনে আয়োজিত ‘অগ্নিনিরাপত্তা-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমরা সবাই বসেছি এখানে, মার্কেটের প্রতিনিধিরাও আছেন। আজ আমরা এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আমরা এলাকাভিত্তিক সময়সীমা নির্ধারণ করে দেব। এর মধ্যে সবাইকে ফায়ার সেফটি বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা তাদের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কোনো সুবিধা দেব না। সেই সঙ্গে ফায়ার সেফটি না মানলে সেই মার্কেট বন্ধ করে দেব।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সম্প্রতি বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, সেখানে কিন্তু ফায়ার সেফটি ছিল না। অথচ তারা সেখানে বসে বড় বড় ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। কিন্তু তারা ফায়ার সেফটির বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই সময় এসেছে আমাদের ফায়ার সেফটি বিষয়টি নিশ্চিত করার।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ভবনের ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু সেই ভবন মালিকের। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না। যে কারণে আজ আমরা সবাই বসেছি, আজ আমরা সিদ্ধান্ত নেব। জননিরাপত্তা বা সেফটি ইস্যুতে সিটি করপোরেশন যেকোনো সময় যেকোনো দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে সিটি করপোরেশন আইনে।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, স্থপতি ইকবাল হাবীবসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলের প্রতিনিধিরা।
বিএসডি/এমএম