নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাঘের শীতে বিপর্যস্ত দেশের উত্তরাঞ্চল। গতকাল সোমবার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ মঙ্গলবারের পর থেকে শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে সপ্তাহের শেষ নাগাদ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আজ মঙ্গলবারের পর থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। এতে ধীরে ধীরে শৈত্যপ্রবাহের এলাকাও কমতে শুরু করবে। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার থেকে ফের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বলা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
সেই হিসাবে দেশের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ ছাড়া অনেক জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সামান্য ওপরে রয়েছে। ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলসহ বেশকিছু অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না অনেকে। সড়কগুলোতে কমে গেছে যানবাহনসহ কর্মজীবী মানুষের আনাগোনা। তীব্র শীতে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
বিএসডি/ এলএল