নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা একটি ‘জঘন্য অপরাধ’ হিসেবে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, এই পোস্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগী সামাজিক ও মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন। আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্ত আইনের একটি মামলায় দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার দায়ে করা ওই মামলায় বরগুনার এক দম্পতিকে জামিন দিয়েছে আদালত। জামিন প্রাপ্তরা হলেন- গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী তামান্না বেগম। নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়া পর্যন্ত তাদের এই জামিন দেওয়া হয়েছে। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সগির হোসেন লিওন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে তুষার রায় সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। শুধু মানবিক কারণে আদালত এই জামিন মঞ্জুর করেছে। আক্তারুজ্জামান ও তামান্নার আইনজীবী লিওন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোন মামলা না থাকায় আসামিদের মুক্তিতে বাধা নেই। জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডলি আক্তার বাদী হয়ে গত গত ৪ জুন আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রীর তামান্নাকে আসামি করে বরগুনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি করেন। মামলার দিনই পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলার অভিযোগে ডলি আক্তার বলেন, তামান্না একটি ফেইক ফেসবুক আইডি তৈরি করে গত ১৩ মে তার চরিত্র সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট দিয়েছেন। এই পোস্টের মাধ্যমে সামাজিক ও মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ডলি আক্তার।
বিএসডি/সাজ্জাদ