নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ফেসবুকে লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এই রায় দেন। তিনি জানান, তাকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদন্ড রায় কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। আসামি ইচ্ছা করলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। এ ঘটনায় তাহমিনার পিতা সাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. ইমরান হোসেন গত ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ১৫ ডিসেম্বর একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেন। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) তাহমিনা হত্যা মামলায় টুটুলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ ও বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু।
পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুলের সঙ্গে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন। পারিবারিক অশান্তির জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি। তার স্ত্রী পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করতেন বলেও দাবি করেন। তিনি ভিডিওতে তার মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।
বিএসডি/আইপি