আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের জন্য তার দেশকে দায়ী করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অর্থহীন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামেরের সঙ্গে টেলিফোনালাপে একথা বলেন। ওই টেলিফোনালাপের বরাত দিয়ে ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন খাদ্য সংকটের জন্য কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করেন। যেগুলোর মধ্যে মূল কারণ, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর নিষেধাজ্ঞা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একইসঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে তার দেশের শান্তি আলোচনায় নাশকতামূলক তৎপরতার চালানোর জন্য কিয়েভকে অভিযুক্ত করেন।
টেলিফোনালাপের পর অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেন, তার দেশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে বলে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার একইসঙ্গে দেশটির খাদ্যশস্য রফতানির পথে রাশিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে। দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর তেল রপ্তানি না হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
কিন্তু রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, দেশটির ওপর আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বৃহ্স্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বের খাদ্য সংকটের জন্য নিজেদেরকেই দায়ী করে; কারণ, তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউক্রেনের খাদ্যশষ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গমের যোগান আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এছাড়া, বিশ্বের বার্লি, ভুট্টা, ক্যানোলা ও সূর্যমুখী তেলের প্রধান উৎস ইউক্রেন।
বিএসডি/ এমআর