বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং বেগম জিয়াকেও কখনো হত্যার ষড়যন্ত্র করেনি। বিএনপির হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।’
আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সৈনিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে পারস্পরিক যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে তা হচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না।’ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহাবস্থানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা বিএনপি বড় বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এসময় অদৃশ্য শত্রু করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিষয় মাথায় রেখে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ প্রতিরোধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি দলের কর্মীদের বাঁচাতে হবে। ওবায়দুল কাদের সৈনিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক না হতে পারলে সৈনিক লীগ করে কোনো লাভ হবে না।’
তিনি সৈনিক লীগের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সৈনিক লীগের সম্মেলনের পর দলটিকে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম অথবা সহযোগী সংগঠন করা হতে পারে।