নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়লা আবর্জনা এখন আর অধিশাপ নয়,কারন নিত্য ব্যবহার্য বর্জ্যের সঙ্গে কাঠ ও বাঁশের গুঁড়া এবং পানি মিশিয়ে হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প গবেষণা কেন্দ্র (বিসিএসআইআর)। প্রাথমিকভাবে জাপান থেকে আনা একটি হাইড্রোফুয়েল চালিত গাড়ি চট্টগ্রামে সফলভাবে চালাতে সক্ষম হয়েছে বিসিএসআইআর কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের মধ্যেই হাইড্রোফুয়েল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। ১ কেজি হাইড্রোফুয়েলে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে।
বিসিএসআইআর এর হাইড্রোজেন এনার্জি বাস্তবায়ন প্রকল্পের পরিচালক ড.মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের বালুচরা এলাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প গবেষণাগারে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণাগারেই হাইড্রোজেন গবেষণাগার ও ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে হাইড্রোজেন পাইলট প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্ট থেকেই নিত্য ব্যবহার্য বর্জ্যের সঙ্গে কাঠ ও বাঁশের গুঁড়া এবং পানি দিয়েই হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদন এবং গাড়িতে ব্যবহারে সাফল্য পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শেষেই বাণিজ্যিকভাবে হাইড্রোফুয়েল উৎপাদন এবং এই জ্বালানি তেল দিয়ে দেশে হাইড্রোফুয়েল চালিত গাড়ি চালানো সম্ভব হবে।’
গবেষকরা বলেন, বর্তমানে এক লিটার জ্বালানি তেলে একটি প্রাইভেট কার ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু এক কেজি হাইড্রোফুয়েলে একটি প্রাইভেট কার ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে। এই ফুয়েল বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহের জন্য আলাদা কোন হাইড্রোফুয়েল স্টেশন করতে হবে না। দেশে বিদ্যমান সিএনজি স্টেশনগুলোতে পৃথক একটি ইউনিট স্থাপন করলেই সেই ইউনিট থেকে হাইড্রোফুয়েল গাড়িতে সরবরাহ করা যাবে।
বিএসডি/এসএইচ