স্পোর্টস ডেস্ক
শেষ দশ বছরে অ্যাশেজের আগে আলোচিত কোনো কথার লড়াই মনে পড়ে আপনার? অথচ একটা সময় অ্যাশেজ মানেই ছিল মাঠে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর মাঠের বাইরে সমানতালে চলা কথার ঝাঁঝ, সেসব এখন সুদূর অতীত।
সাম্প্রতিককালে অ্যাশেজের এমন এমন ম্যাড়মেড়ে ভাবটা চোখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রারও। তার মতে দুই দলের ক্রিকেটাররা এখন একটু বেশিই বন্ধুভাবাপন্ন, তাই কিছুটা বিরক্তিই ঝরে পড়ল সাবেক অজি পেসারের কণ্ঠে।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বৈরি মনোভাবকে বন্ধুত্বে রূপ দিয়েছে আইপিএল এবং বিগ ব্যাশ। এই দুই টুর্নামেন্টের কারণে এখন বছরের একটা বড় সময় একসঙ্গে কাটানো হয় দুই দেশের ক্রিকেটারদের। সেজন্যে দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দারুণ ‘বন্ধুত্ব’ই দেখা যায় এখন।
তার ছাপ পড়েছে অ্যাশেজেও। ক্রিকেটের শতবর্ষ পুরোনো এই লড়াই চললেও এখন আর আগের মতো সেই কথার আগুন দেখা যায় না। দুই দেশের মধ্যে পুরোনো দিনের সেই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবও দেখা যায় না আর। অন্তত সাবেক অজি পেসার ম্যাকগ্রার মনে হচ্ছে তেমন কিছুই।
তবে অজি এই কিংবদন্তি জানালেন, অন্তত অ্যাশেজে এমন বন্ধুত্ব চান না তিনি। ‘দ্য পিজিয়নের’ চাওয়া, ভদ্র ব্যবহার ছেড়ে ক্রিকেটারদের আগ্রাসনের প্রভাব পড়ুক মাঠে।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় এক সংবাদপত্রে ম্যাকগ্রা বলেছেন এ কথা। ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই পেসারের ভাষ্য, ‘মাঝে মাঝে একটু ভদ্র হওয়া ভাল। কিন্তু সেটাই যখন টানা চলছে এখন। এখনকার ক্রিকেটাররা অনেক বেশি ভদ্র ব্যবহার করছে। মাঠের আগ্রাসন এবং কঠোর হয়ে খেলার প্রবণতা কমেই যাচ্ছে।’
ক্রিকেটারদের এমন ভদ্র ব্যবহারের যুগে ম্যাকগ্রা পুরোনো দিনের স্মৃতিও রোমন্থন করলেন। বলেছেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, নাসের হুসেন যেবার ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে এখানে এসেছিল, তখন আমাদের সঙ্গে কথা বলার অধিকারটাও ওদের ছিল না। এমনকি, দিনটা ভাল যাক জাতীয় কথাও ওরা বলতে পারত না।’
তাদের যুগের ক্রিকেটারদের সঙ্গে এখনকার ক্রিকেটারদের সঙ্গে পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে অজি এই কিংবদন্তি বলেছেন, ‘এখন কোনও ইংরেজ বা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার সাক্ষাৎকার দিতে হয়ে ডাকনাম ব্যবহার করে। ব্রডি, জিমি, কেজ। আমি সে দিনই জিজ্ঞাসা করছিলাম, এই কেজটা কে? পরে জানতে পারি, ওটা অ্যালেক্স ক্যারির ডাকনাম। ওদের সম্পর্কটা যেন এখন একটু বেশিই বন্ধুত্বের। আমাদের সময়ে এটা ছিল না।’
এসএ