ক্রীড়া ডেস্ক:
এবারের বিশ্বকাপে বর্ণবাদের প্রতিবাদসরূপ এক দারুণ অভ্যাস গড়ে তুলেছেন ক্রিকেটাররা। খেলা শুরুর আগে হাঁটু গেড়ে বসে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ সমর্থন করেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই এই কাজটি করে আসছে সব দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককসহ কোচিং স্টাফের কয়েকজন সদস্য সম্মত হননি হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদের প্রতিবাদ জানাতে। পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন মূল একাদশ থেকে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েন ডি কক। ভক্ত, সাবেক ক্রিকেটার এবং সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এবার নিজের এমন আচরণের ব্যাখ্যা দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি। বললেন যদি তার হাঁটু ভেঙ্গে বসাটা কাউকে কিছু শেখায় এবং এর ফলে কারও জীবন উন্নত হয় তিনি রাজি আছেন এটা করতে।
প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘বর্ণবাদী বলে আমাকে সম্বোধন করাটা প্রচন্ড কষ্ট দেয়। আমার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীও এতে অনেক কষ্ট পান। আমি জানি আমি বর্ণবাদী না। যারা আমাকে চেনেন তারাও এটা জানেন। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল বা অন্য কাউকে অসম্মান করতে চাইনি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সব মানুষের সমতা ও সমান অধিকার যে কোন ব্যক্তিবিশেষের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি শিখেছি সকলেরই অধিকার রয়েছে এবং সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়েছিল আমার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে যখন আমাকে বলা হল যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই এটা করতে হবে।’
এর পর নিজের সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কক বলেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতে চাই, বিশেষ করে টেম্বাকে (টেম্বা বাভুমা)। সবাই এখনও তাকে চিনতে পারেনি তবে সে দারুণ একজন নেতা।’
বিএসডি/এসএসএ