নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম থেকে পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারীদের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ না করায় নিবন্ধনধারীরা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এনটিআরসিএ’র নিবন্ধনধারী প্রথম-দ্বাদশ নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে এই অভিযোগ তুলে নিয়োগ দাবি করা হয়।
নিয়োগপ্রত্যাশীদের দাবি, প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেজ আলাদা করে গত বছরের ১৭ অক্টোবর এবং ২৩ ডিসেম্বর বর্তমান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
নিয়োগ প্রত্যাশীরা জানান, গত বছরের ১৭ অক্টোবর এবং ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির আহমেদ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিতদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনটিআরসিএ নিয়োগ চক্রের প্রথম থেকে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করাদের দিয়ে শূন্য পদ পূরণ না করায় সিস্টেম দুর্নীতিতে নিয়োগ বঞ্চিত প্রথম থেকে দ্বাদশ ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। এসব নিবন্ধনধারীদের ডেটাবেজ আলাদা করে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরের প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করছি আমরা। বিগত সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলাদের চরম নির্লজ্জ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির রোষানলে পড়ে আমরা প্রথম-দ্বাদশ বৈধ সনদধারীরা চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি।
উদাহরণ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭টি নিয়োগ সুপারিশের পরীক্ষা নিয়ে মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রহসন করা হয়েছে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে চাকরি দেওয়া হবে না বলা হলেও প্রথম-পঞ্চম ব্যাচের ৪৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষাধিক শূন্য পদ থাকলেও আমরা বৈধ সনদ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১২ জুন পাস করা নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। শুধু তাই নয়, ১৩তম নিবন্ধন সনদধারীদের সনদে উল্লেখ আছে সনদের মেয়াদ তিন বছর। অথচ প্রথম-ত্রয়োদশ নিবন্ধন সনদধারীদের সঙ্গে আমাদের একত্রিত করে ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তারা বলেন, এসব বৈষম্য দূর করতে আমরা ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে মানববন্ধনসহ অনেক দেন দরবার করে আসছি। বর্তমান সরকারকে আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে নিয়োগ প্রত্যাশীদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ধুলোয় ধূসরিত হবে।
কর্মসূচি
অবিলম্বে নিয়োগের ঘোষণা না হলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ মোড়ে সকাল ১১টা থেকে রাতযাপনসহ লাগাতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রার মাধ্যমে শাহবাগ মোড় থেকে সচিবালয়ের প্রত্যেক গেট তাদের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে।