ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে দেশটির কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে ৪ লাখ ৬১ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। বলসোনারোর উদাসীনতার কারণেই দেশটিতে করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিক্ষোভকারীরা। খবর এএফপির।
রিও ডি জেনিরোতে ১০ হাজারের মতো মানুষ মাস্ক পরে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা ‘বলসোনারো গণহত্যা চালিয়েছেন’ অথবা ‘বলসোভাইরাস দূর হোক’ বলে স্লোগান দেন।
ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরে এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
বলসোনারো করোনাভাইরাসকে বরাবরই ‘সাধারণ ফ্লু’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি ঘরে থাকা, মাস্ক পরার বিরোধিতা করেন। টিকা নেওয়ার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ব্রাজিলে বলসোনারো সরকার টিকাদান কর্মসূচি আরও আগে শুরু করলে অনেক প্রাণ বেঁচে যেত। ওমর সিলভেইরা নামে এক ব্যবসায়ী এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমরা বলছি, যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে।’
বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, ‘বলসোনারো একজন খুনি, মানসিক রোগী। তাঁর কোনো অনুভূতি নেই। আমাদের কষ্ট বোঝার ক্ষমতা নেই।’ তিনি বুঝতে পারছেন না এই দুর্যোগের জন্য তিনিই দায়ী।
আমাজনে বন উজাড় করে দেওয়া ও আদিবাসীদের জমি দখলের জন্য বলসোনারোর সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, বলসোনারো সহিংসতা ও জাতিগত বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ব্রাসিলিয়া, সালভাদর, বেলো হরিজনতে শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রাজিলের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রিসাইফ শহরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।
বলসোনারোর স্বাস্থ্যসংকট তদন্ত করছে সিনেট কমিশন।