নিজস্ব প্রতিবেদক:
একের পর এক ব্যবসায়ে লোকসান। হয়ে পড়েন হতাশাগ্রস্ত। এ অবস্থায় পৈতৃক জমিতে শুরু করেন বাঁধাকপি চাষ। এই এক সবজি চাষেই জীবন পাল্টে যায় শহীদ খানের। এতে তার লাভ হয়েছে তিন লক্ষাধিক টাকা।
শহীদ খান (৪০) সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের রশিদ খানের ছেলে।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করেন শহীদ। কিন্তু শুরু করার ৬-৮ মাসের মধ্যেই লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা। পরে কয়েকটি গরু কিনে একটি খামার গড়ে তোলেন। কিন্তু ঋণে জর্জরিত হয়ে গরু বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে বসে থাকতেন।
এমন অবস্থায় ২০২০ সালে বাড়ির পাশের ১০ শতাংশ জমিতে টমেটো ও বেগুনগাছ রোপণ করেন। এতে মোটামুটি লাভ হতে থাকে তার। পরের বছর তিনি ২০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঁধাকপি চাষ করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭৫ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি রোপণ করেন তিনি। এক মৌসুমেই তিনি আয় করেছেন ৩ লাখ টাকার বেশি।
শহীদ খান বলেন, একের পর এক ব্যবসা করে সফল হতে পারিনি। ধার-দেনায় পড়ে বসতঘর বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলাম। পরে বাঁধাকপি চাষ করি। আমি আজ সফল। আগে এই জমিতে ধান চাষ করে যা লাভ হতো, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি লাভ হচ্ছে বাঁধাকপিতে।
তিনি আরও বলেন, এখনো প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিন লাখ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করেছি। বীজ কিনে নিজে চারা বানাই। পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে ব্যবসার চেয়ে কৃষিকাজ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায়।
বরগুনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহীদ কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। তাই তিনি সফল হয়েছেন। তাকে দেখে অনেকেই সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে কেউ আমাদের কাছে আসলে আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।
বিএসডি/ এলএল