নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী শনিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সড়কে বাস চলাচল করবে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করবেন বাস মালিকরা।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জানুয়ারি থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে এ নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বাস মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় বনানীতে আজ (১২ জানুয়ারি) দুপুরের পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিআরটিএ। ওই বৈঠকে, বাসভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধিনিষেধে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করতে চান বাসমালিকরা
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বৈঠকে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রস্তাব করেছেন, বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে না। ৫০% যাত্রী পরিবহন করা হলে রাজধানীতে পরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা উচিত।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এখন বাস ভাড়া বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। কারণ গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসে যাত্রী পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তারা সবশেষে একমত হয়েছেন যে ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করা হবে এবং এটি এ মুহূর্তে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।
বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/ এলএল