নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে বায়ুদূষণ ও বায়ু পরিশোধন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা সুইস সংস্থা আইকিউ এয়ার। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে দূষিত তালিকায় প্রথমেই উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।
মঙ্গলবার এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার বাতাসের মান বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ এবং সবচেয়ে দূষিত ৫০ শহরের মধ্যে ৪৬টিই এ অঞ্চলের।
বিশ্বের ছয় হাজার ৪৭৫ শহরের দূষণের তথ্যভিত্তিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।
গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তন করে। সেই সময় সংস্থাটি জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট ও বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
তবে এর চেয়ে কম ঘনত্বও উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
সুইজারল্যান্ডের দূষণ প্রযুক্তি সংস্থা আইকিউএয়ারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জরিপ করা শহরগুলোর মধ্যে মাত্র তিন দশমিক ৪ শতাংশ শহর ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে। তবে ৯৩ শহরে পিএম২.৫ এর মাত্রা প্রস্তাবিত স্তরের চেয়েও ১০ গুণ বেশি।
আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি শ্রোডার বলেন, ‘অনেক দেশ আছে যারা বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে। চীনের অবস্থা অতীতে অনেক খারাপ ছিল, তবে দেশটি দিন দিন উন্নতি করছে। তবে বিশ্বে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ।’
সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ভারতের সামগ্রিক দূষণের মাত্রা আরও খারাপ হয়েছে এবং নয়াদিল্লি আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তকমা পেয়েছে।
বাংলাদেশ আগের বছরের মতো ২০২১ সালেও সবচেয়ে দূষিত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো আফ্রিকার দেশগুলোর তথ্য নেওয়ায় চাদ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে দূষণের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় চীন ২০২১ সালে পিএম২.৫ র্যাংকিংয়ে ২২তম স্থানে নেমে এসেছে। এর আগের বছর দেশটির অবস্থান ছিল ১৪তম। আইকিউএয়ার বলছে, ২০২০ সালের তুলনায় কিছু উন্নতি হয়ে ২০২১ সালে চীনে পিএম২.৫ মাত্রা ৩২.৬ মাইক্রোগ্রামে নেমে এসেছে।
বিএসডি/ এমআর