বর্তমান সময় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তার পাবনার ও ঢাকার বাসায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক আছেন। পাবনা জেলা পুলিশ ও ডিএমপির শ্যামলী থানা পুলিশ হাইকোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ৬ নভেম্বর হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। এ কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট। এবং ৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) একবার শাস্তি হলো ৫ বছর জেল, সশ্রম কারাদণ্ড। আমি ওইদিন বলেছিলাম বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান সাহেব, আপনার মা বেঁচে থাকলে মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘মা, আমি একজন বয়স্ক মহিলাকে জেল দিয়ে আসছি, সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে আসছি তুমি কি বলো? আপনার মা বলবেন, এই জায়গাতেই বলেছিলাম, আপনার মা বলবে ‘তুমি আমার সন্তান না, তুমি একটা কুলাঙ্গার। এতদিন তোমার জন্য গর্ববোধ করতাম, এখন আর গর্ব করি না, তুমি একটা কুলাঙ্গার সন্তান। তোমার মতো সন্তান জন্ম না দেওয়াই উচিত ছিল।
অপর একটি ভিডিওতে হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি বক্তব্য রয়েছে, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করা হয়। ওই বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, “শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।”
বিএসডি/আরপি