বিএনপির চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে রাজপথে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহানগরের নেতারা অবস্থান করছেন। তবে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোহাম্মদ জগলুল কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ে তৃতীয় দফায় বিএনপির দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা চলবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাঝ পথেই পণ্ড হয় যায় বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এরপর রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ২ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমান বিরোধী দলগুলো। এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিএসডি / এলএম