নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে ইইউর সহায়তা চায় ঢাকা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে এসে সংস্কারে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর নতুন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
সাম্প্রতিক ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানকে পরিবর্তনের একটি অভূতপূর্ব সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন ইইউর রাষ্ট্রদূত। তিনি মানবাধিকার ও সুশাসনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ এই পরিবর্তন ও সংস্কারে ইইউর সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে চায় এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের উত্তরণকে সমর্থন করতে চায়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইইউর সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ-ইইউ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একটি ভালো ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উন্নতির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ইইউকে সহায়তার অনুরোধ করেন। তিনি কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে ইইউর সহায়তা চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রেল, জ্বালানি, পানি ও স্বাস্থ্য খাতে ইবিআইয়ের চলমান ৯০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির উপর আসন্ন আলোচনার প্রশংসা করেন।