নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আপাতত ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এটা এখন একটি গণপরিবহন হয়ে উঠেছে, তাছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার মাধ্যমে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত এক কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ দুই খাতে বেশি খরচ হয়। তার মধ্যে একটি হলো সেচ, আরেকটি হলো কুলিং লোড। সেচের মাধ্যমে যেহেতু কৃষিকাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে, খাদ্যসংকট যাতে না হয় তাই আমরা তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।
তিনি বলেন, এসির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় যে কুলিং লোড বা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়, তা চাইলে সাশ্রয় করা সম্ভব। আমরা যদি এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে ব্যবহার করি, তাহলে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট সাশ্রয় হবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এসি ব্যবহারের এই নির্দেশনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। যে এলাকায় দেখা যাবে যে কুলিং লোড বেশি ব্যবহৃত হবে, অর্থাৎ ফিডারে বেশি চাপ দেখা যাবে, আমরা সে এলাকায় লোডশেডিং করবো এবং এবারের লোডশেডিংয়ে শহর এবং গ্রামকে সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অর্থাৎ শহরে যে পরিমাণ লোডশেডিং দেওয়া হবে, গ্রামেও একই পরিমাণ লোডশেডিং দেওয়া হবে।
কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড.ইজাজ হোসেন প্রমুখ।