নিজস্ব প্রতিবেদক,
চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই রাজশাহীতে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিধিনিষেধের পরিধি বাড়তে থাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতা আর আগের মতো চোখে পড়ছে না।
রাজশাহী মহানগরীর পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন। বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল বেড়েছে। তার মধ্যে অনেকেই গাদাগাদি করে স্বাভাবিক সময়ের মতোই নিজ নিজ গন্তব্যে ছুঁটছে মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতায় অটোরিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচলও বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর, শালবাগান, রেলগেট সাহেববাজার, কুমারপাড়া, আলুপট্টি, লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি পয়েন্ট ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
এছাড়া শহরের বাইরে থাকা কাটাখালী, বেলপুকুর ও কাঁশিয়াডাঙ্গার প্রবেশ পথে দেখা গেছে বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন। অনেকের কাছেই মিলেছে পুরোনো প্রেসক্রিপশন। পুলিশের জেরার মুখে কেউ কেউ বাড়ি ফিরছেন। আবার অনেককে জরিমানা গুনতে হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে।
চলতি সপ্তাহে রাত ছাড়া সব সময়ই কাঁচাবাজার খোলা থাকছে। প্রধান প্রধান সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা দোকানের অর্ধেক সার্টার খুলে ব্যবসা করছেন। বেশিরভাগ মানুষ রাস্তায় বের হলেও মুখে মাস্ক পরছেন না। কেউবা আবার শার্টের বুক পকেটে মাস্ক রেখে ঘুরছেন। কেবল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আসতে দেখলেই জরিমানা এড়াতে তড়িঘড়ি করে মুখে মাস্ক পরছেন।
বর্তমানে মহানগরী ও উপজেলাগুলোতে আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজশাহী জেলায় ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় চারটি ও নয়টি উপজেলায় ১৮টিম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল জানান, জেলা প্রশাসন চাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা ফাঁকা করে দিকে পারবে। কিন্তু জীবনের পাশাপাশি সবার জীবিকা নিয়েও তাদের ভাবতে হচ্ছে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম শিথিলও করতে হচ্ছে।
তবে যে কোনো বিভাগীয় এবং জেলা শহরের চেয়ে রাজশাহীর পরিস্থিতি এখন অনেকে ভালো বলেও উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক জলিল।
বিএসডি/আইপি