স্পোর্টস ডেস্ক:
অনিশ্চয়তার মেঘ কাটিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের।
২১ জানুয়ারিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট— এই তিন ভেন্যুতে ম্যাচগুলো শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।
যেখানে অংশ নেবে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ ৬ দলের টি-টোয়েন্টি লিগ হবে এবারও।
বুধবার রাতে বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য মিলেছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ বিষয়ে জানান, ‘আমাদের হাতে আরও কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকলেও এখন পর্যন্ত ছয়টি দল চূড়ান্ত। তারা পার্টনারশিপ মানি জমা দেবে।’
বিসিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এবারের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে এক কোটি টাকা, রানার্সআপ ৫০ লাখ।
‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবেন সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৩৫ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরি ২৫ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরি ১৮ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরি ১২ লাখ ও ‘এফ’ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
বিদেশি খেলোয়াড়দের ‘এ’ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (৬৪ লাখ টাকার বেশি), ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫০ হাজার ডলার (৪২ লাখ টাকার বেশি), ‘সি’ ক্যাটাগরির ৪০ হাজার ডলার, ‘ডি’ ক্যাটাগরির ৩০ হাজার ডলার (৩৪ লাখ টাকার বেশি)ও ‘ই’ ক্যাটাগরির ২০ হাজার ডলার (১৭ লাখ টাকার বেশি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড্রাফটের বাইরে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় নিতে পারবে দলগুলো। প্রতিটি দলকে অবশ্যই তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় একাদশে রাখতে হবে। তবে সর্বোচ্চ কয়জন বিদেশি খেলানো যাবে প্রতি ম্যাচে, বিজ্ঞপ্তিতে জানায়নি বিসিবি।
ড্রাফটের আগে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যে কোনো ক্যাটাগরি থেকে প্রতিটি দল একজন খেলোয়াড় সরাসরি দলে নিতে পারবে। এর বাইরে একটি দল ড্রাফট থেকে সর্বনিম্ন ১০ জন ও সর্বোচ্চ ১৪ জন স্থানীয় খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতিটি দলের জন্য নিবন্ধিত স্থানীয় খেলোয়াড় সংখ্যা ১৪ জনের বেশি হতে পারবে না।
বিএসডি/এসএফ