বর্তমান সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বিশ্বমানের ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র’ স্থাপন করতে যাচ্ছে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রকল্প সম্পন্ন করবে ব্রি।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এর অংশ হিসেবে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল ব্রি পরিদর্শন করেছে। ব্রির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের অ্যান্ড্রু শার্প রিসার্চ সায়েন্টিস্ট বঙ্গবন্ধু চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি পঙ্কজ ভৌমিক, ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হাসান পারভেজ আহমেদ, ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. খালেকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কাঠামোগত কারণগুলি চিহ্নিত করবে। এছাড়া সেসব মোকাবিলা করে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো যেমন জলবায়ু-সহনশীল জাতের উন্নয়ন, মাটির গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য, ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্যের অপচয় কমানো এবং বাজারজাতযোগ্য খাদ্যপণ্যের বিকাশে কাজ করবে।
এ বিষয় ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ব্রিতে এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মসূচিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল। চালের নিরাপত্তা এখানে খাদ্য নিরাপত্তার সমার্থক। বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ব্রিতে প্রয়োজনীয় জায়গা ও সুবিধাদি দিতে প্রস্তুত আছি।
ড. শাহজাহান কবীর যোগ করেন, যদি আমরা এর কৌশলগত লক্ষ্য এবং মিশন বিবেচনা করি, যেমন- জাতীয় কৃষি গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অংশীদারিত্ব, সমস্ত প্রকল্পে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্বকে একীভূত করা এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং নারীদের সমর্থন করে এমন কার্যক্রম ব্রির কৌশলগত দিকগুলোর সঙ্গে মিলে যায়।
বিএসডি/এসএফ