আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পছন্দের পাত্র না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। পড়াশোনার পাঠ চোকানোর পর দীর্ঘ দিন ধরেই তার জন্য পাত্রের খোঁজ চলছিল। বিয়ের জন্য মেয়ের একটিই ‘শর্ত’ ছিল- পাত্রকে সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে। তবে ‘শর্তপূরণ’ না হওয়ায় কোনো পাত্রকেই মনে ধরছিল না ২৬ বছর বয়সী মেয়েটির।
বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে তার পরিবারের দাবি। পড়শিদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না মেলায় আত্মহত্যা করেছেন শিল্পী ঘোষ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কান্দির খড়গ্রামের গুরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী ঘোষের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারাই খড়গ্রাম থানায় খবর দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা গলায় গামছার ফাঁসে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিল্পী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানা।
ভাইয়ের একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে হতবাক শিল্পীর চাচা সঞ্জীব মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘স্নাতক শেষ করার পর থেকেই শিল্পীর জন্য পাত্রের খোঁজ করা হচ্ছিল। তবে জমি-জায়গা, টাকা-পয়সা রয়েছে, এমন ছেলের খোঁজ মিললেও সরকারি চাকরিজীবী পাত্র ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী।’
এ ঘটনার কথা শোকাহত শিল্পীর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন ঘোষও। তার দাবি, ‘কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল না শিল্পীর। ও আমার বোনের মতো ছিল। গ্রামের সবাই ওকে ভাল মেয়ে বলে চেনে। ওর বিরুদ্ধে গ্রামের কারো কোনো অভিযোগ পর্যন্ত নেই। অনেক দিন ধরে বিয়ের জন্য দেখাশোনা চললেও সরকারি পাত্র ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হয়নি শিল্পী। হয়তো সে জন্য ওর মানসিক চাপ বাড়ছিল। হয়তো চেয়েছিল, বিয়ের পর ভালভাবে থাকবে। তবে কপালে না থাকলে যা হয়!’
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ