নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর ডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পঙ্খী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার টাওরা গ্রামের মৃত রহিম মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী ও পুলিশ জানায়, স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর এক সন্তান নিয়ে জয়নগর গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন ওই নারী। মাস চারেক আগে পঙ্খী বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওই নারীর বাবার বাড়িতে যান। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে পঙ্খীর স্বভাব চরিত্র ভানো না জানতে পেরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন ওই নারী ও তার পরিবার। এরপরও পঙ্খী বিভিন্ন সময় রাস্তা-ঘাটে একা পেলেই ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকেন। প্রতিবারই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন পঙ্খী।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি বাবার বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় দরজার ফাঁকা দিয়ে পঙ্খী তার গায়ে এসিড ছোড়েন। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পঙ্খী পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ নারীকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মামুন জানান, এসিডে ওই নারীর বাম হাত ও পিঠসহ কোমড়ের ১২ থেকে ১৬ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদীর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএসডি/ফয়সাল