নিজস্ব প্রতিবেদেক:
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী সোলেমান মোল্লা’কে রাজধানীর চকবাজার হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকায় বসবাসরত ১৩ বছর বসয়ী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিশু গত ১৫.১২.২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ২০:০০ ঘটিকায় তার দাদুর ঘর থেকে খাবার উদ্দেশ্যে বের হলে একই এলাকায় বসবাসরত সোলেমান মোল্লা (৪২) নামক এক ব্যক্তি উক্ত শিশুকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সোলেমানের বাসায় নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য সোলেমান ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ভিকটিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সোলেমানের ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। পরবর্তীতে সোলেমান তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। অতঃপর কয়েক মাস পর ভিকটিম অন্তঃসত্ত¡া হলে বিষয়টি তার পরিবারের নজরে আসে এবং তার পরিবারের লোকজন ভিকটিমের কাছে ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইলে ভিকটিম সোলেমানের নাম উল্লেখ করত উক্ত ধর্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার সোলেমান ও তার পরিবারের সাথে উক্ত ধর্ষণের বিষয়টি জানালে সোলেমান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রতি দেয় যার ফলে ভিকটিমের পরিবার সোলেমানের প্রতি আশ্বস্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি। কিন্তু সোলেমান আজ নয় কাল বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকে এবং গত ১২/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সে ভিকটিমকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। ভিকটিম ০৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার নিরুপায় হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানায় সোলেমানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করে। যার মামলা নং- ২০ তারিখ- ১৩/০৬/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারা। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসামী আত্মগোপনে চলে যায় এবং বিগত কয়েক মাস যাবত বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ২৯ আগস্ট ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, ধর্ষক সোলেমান রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি উল্লেখিত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী সোলেমান মোল্লা (৪২)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাব জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি প্রতারণা ও ধর্ষণের মত ঘৃন্য অপরাধ দমন করে ভুক্তভোগী নিরীহ জনসাধারণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে র্যাব।
বিএসডি/এফএ