জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এটি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্ক থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্নজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি, রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দু’জন সংসদ সদস্য ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর কোবিন্দ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর রামনাথ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারতের রাষ্ট্রপতি গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্নজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্নজয়ন্তীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং রক্তস্নাত বিজয়ের আবেগ ও আনন্দ উদযাপনের জন্য আয়োজিত মহাবিজয়ের মহানায়ক অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।
সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর রামনাথ ঢাকার রমনায় কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করবেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করবেন। ওই দিন দুপুরে তিনি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন জানান, এসব সৌজন্য সাক্ষাতে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। কোন কোন বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া হবে- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আলোচনা প্রতিনিয়ত চলছে। বাংলাদেশ ভারত সাক্ষাৎ হলেই আমরা আমাদের বিষয়গুলো তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করি। এবারও আলোচনা হবে।’
সংবাদ সম্মেলন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরে দু’দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিষয় নেই। সফরটা আনুষ্ঠানিকতায় মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/এসএ