দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসকসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সরকারের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।
আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বয়স্ক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৫ ভাগই ষাটোর্ধ্ব। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ জন্যই তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বুস্টার ডোজের পাশাপাশি করোনার টিকার অন্যান্য কর্মসূচি চালু থাকবে। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের টিকাদান অব্যাহত থাকবে।
বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপসকে হালনাগাদ করা এখনো সম্ভব হয়নি বলে জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় বলেছে, ২৮ ডিসেম্বরের আগে এটিকে হালনাগাদ করা সম্ভব হবে না। তাই অ্যাপসের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের নিবন্ধন এখনই শুরু হচ্ছে না। তবে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। বিভিন্ন কার্ডের মাধ্যমে এটি করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এর অর্থ হলো ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। এর জন্য ২৪ কোটি টিকা লাগবে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে দিতে গেলে ১৩ কোটি টিকা লাগবে। এখন মাঠপর্যায়ে ৪ কোটি ৬৩ লাখ টিকা আছে। আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ টিকা চলতি মাসের মধ্যে আসবে। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। আগামী ৩১ মার্চের ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টিকা হাতে থাকবে। টিকার কোনো ঘাটতি হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ফাইজারের আরও ২ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। এই ফাইজারের টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিএসডি/ এলএল