বেনাপোল প্রতিনিধি:
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার সহ ৩ দফা দাবিতে আজ বুধবার ৮ জুন সকাল থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে লাগাতার ধর্মঘট চলছে। বন্দর ব্যবহারকারী বড় সংগঠন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নিজস্ব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ ধর্মঘটের ঘোষনা দেন।
ধর্মঘটিদের দাবি সমূহ হচ্ছে, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার, বেনাপোল স্থল বন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ বৃদ্ধি সহ দক্ষ চালক নিয়োগ দেওয়া এবং বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি সহ যানজট মুক্ত রাখা।
ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল। যে বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকেন।
বেনাপোল বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ফরকলিফট, না থাকায় পন্য লোড/আনলোড ব্যহত হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। বন্দর কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তারা ব্যথ হয়েছে। ফলে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে পন্য খালাশ প্রক্রিয়া।
ধর্মঘটিরা বলছেন, মোঃ মামুন কবীর তরফদার বন্দরের টেন্ডার সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব আত্নীয় স্বজনদের নিয়োগ দিচ্ছেন। তিনি বেনাপোল বন্দরটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি একই স্থানে চাকুরী করছেন একই পদে। তাকে এ বন্দর থেকে প্রত্যাহার করলে, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হওয়া সহ রাজস্ব আদায় আরও বেশি বাড়বে।
তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্ম বিরতি লাগাতার চালিয়ে যাবো। বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠনই আমাদের সাথে আছে। যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের ৩ দফা দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
আজ দর্শঘটিদের এক সমাবেরেশ বক্তব্য রাখেন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এ.কে.এম.আতিকুজ্জামান (সনি), সহ-সভাপতি-১ ইদ্রিস আলী, সহ-সভাপতি-২ মশিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য-১ রাজু আহম্মেদ ও সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুজিবর রহমান।
বিএসডি/ এমআর