প্রতিনিধি বেনাপোল:
বেনাপোলের খড়িডাংগা গ্রামে নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমিতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ‘গভীর নলকূপ’ জোর দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
ফলে খড়িডাংগা মাঠে অর্ধশতাধিক কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন। মাঠে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না তারা।
‘গভীর নলকূপ’ জোর দখল করায় অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমিতির অন্যান্য সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আদালতে। আদালত মামলাটি বর্তমানে যশোর পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নুরুল ইসলাম গত ৭ মাস আগে মারা যাওয়ার পর তার ভাই ও ছেলেরা নলকুপটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়।
সমিতির ৯ সদস্যের মধ্যে প্রথমে পাঁচজনকে ও পরে অপর তিনজনকে মালিকানা থেকে বাদ দেয়া হয়।
১৯৮৪ সালে শার্শা উপজেলা বিএডিসির মাধ্যমে ৯ সদস্যের সমিতির নামে এই গভীর নলকূপটি শার্শার খড়িডাঙ্গা চাতরেল বিলে ২০০ একর জমিতে পানি সেচের জন্য স্থাপন করা হয়।
গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য জমিদাতা খড়িডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৮৪ সালে বিএডিসির মাধ্যমে সমিতি নামে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। নলকুপের জন্য তিন শতাংশ জমি দান করি আমি। সমিতির সদস্য ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন ও এবাদত আলী, আব্দুল আজিজ, নুরুল ইসলাম, আহাজ্জত আলী অহেদ আলী, হাবিবুর রহমান ,শাহাদৎ হোসেন।গভীর নলকূপটি চালানোর জন্য রিয়াজউদ্দিনের নামে বিদ্যুতের মিটার নেয়া হয়। আর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় নুরুল ইসলামকে। দুই বছর সমিতির কোন হিসেব দেয়া হয়নি।
নুরুল ইসলাম এরই মধ্যে গোপনে নলকূপের সব কাগজপত্র নিজের নামে করে নেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে রিয়াজ উদ্দিনের নামে থাকা বিদ্যুতের মিটারটিও নিজের নামে করে নেন তিনি।
বর্তমানে এই গভীর নলকূপটির মালিকানা নিয়ে যশোর আদালতে মামলা চলমান। বছর তিনেক আগে প্রতারিতরা এই মামলাটি করেন।
নুরুল ইসলামের ভাই নুরুল হক জানান, সব কাগজপত্র আমাদের নামে। নলকুপের লোন পরিশোধ করতে না পারায় আমার ভাইকে জেলে যেতে হয়। পরে নিজেদের জমি বিক্রি করে আমরা লোন পরিশোধ করেছি। বর্তমানে এ বিষয়টি আদালতে মামলা চলমান, মামলায় যে রায় হবে সেটি আমরা মেনে নিব।
বেনাপোল ইউপি চেয়রম্যান বজলুর রহমান জানান, গভীর নলকুপটির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে যখন সংকট সৃষ্টি হয়, তখন আমি উভয়কে নোটিশ করে ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে আসি। প্রকৃতপক্ষে গভীর নলকুপটি দালিলিকভাবে মালিক নয়জন।
বিএসডি/ এলএল