বর্তমান সময় ডেস্ক:
গুজব ছড়িয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সারের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ডিলার, ব্যবসায়ী, দোকানদার বেশি দামে সার বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত ৩০ দিন অব্যাহতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজন হলে পুরো বোরো মৌসুমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
‘চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে’ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ডিসেম্বর মাসে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৩ লাখ ১ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত আছে ৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। টিএসপির ডিসেম্বর মাসে চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ১ লাখ ৯২ হাজার টন। ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টন, বিপরীতে মজুত ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন। এমওপির চাহিদা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ টন, বিপরীতে মজুত আছে ৩ লাখ ১২ হাজার টন।’
২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় সব ধরনের সারের বর্তমান মজুত বেশি বলে জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনে বোরো মৌসুমে সারের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বর্তমানে সারের যে মজুত রয়েছে এবং পাইপলাইনে যে সার রয়েছে, সব মিলিয়ে সারের কোনো সংকট হবে না।’
‘আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে’ উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘যে সারের মূল্য টন প্রতি ৩০০ ডলার ছিল, তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে টন প্রতি ৯৬৪ ডলার। আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে আমাদের মতো দেশগুলোকে শোষণ করছে। আর এদিকে দেশে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে কোথাও কোথাও এলাকাভেদে বিচ্ছিন্নভাবে সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা কঠোরভাবে মনিটর করছি, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর আছেন।’
বিএসডি/ এলএল