ক্রীড়া ডেস্কঃ
করিন্থিয়ান্স অ্যারেনায় যা ঘটেছে, ফিফা সভাপতির ভাষায় তা ‘পাগলামি’। রোববার রাতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের সেই পাগুলে ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি। চার আর্জেন্টাইন ফুটবলারের কোয়ারেন্টাইন না মানাকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল সরকার খেলা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় আগে-পরে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) ভূমিকা কী ছিল- তা জানতে চেয়েছে তদন্ত কমিটি। এজন্য দুই ফুটবল কর্তৃপক্ষকে ছয় দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা কনমেবল এবং খেলার সঙ্গে জড়িত ফিফা অফিসিয়ালদের রিপোর্ট এবং বক্তব্যও নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ফিফার কাছ থেকে রায় আসতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাও পাওলোতে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনভিসা ও প্রদেশ পুলিশ কর্তৃক ম্যাচ পণ্ড করে দেওয়ার বিদঘুটে ঘটনা একপাশে রেখে গতকালই মাঠে নেমে পড়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ফুটবল দল। দু’দলই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী ম্যাচটি খেলবে নিজ নিজ দেশে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে আর্জেন্টিনা খেলবে বলিভিয়ার বিপক্ষে, ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। ব্রাজিলের মাটিতে যে চার ফুটবলারকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেই রোমেরো, লো সেলসো, মার্টিনেজ ও বুয়েন্দিয়াকে সোমবারই স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে মার্টিনেজ ও বুয়েন্দিয়া এ সময়ে জাতীয় দল ছেড়ে অ্যাস্টন ভিয়ায় চলে যাওয়াটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। আর রোমেরো ও লো সেলসোকে টটেনহামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সাও পাওলোর পাগলাটে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ইএসপিএন জানিয়েছে, ইমিগ্রেশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে প্রবেশ করার ঘটনার জেরে টটেনহাম দুই ফুটবলারকে জরিমানা করতে পারে।
এদিকে সাও পাওলোর সংবাদপত্র ‘ফোলহা’ পাঁচ মিনিট পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। ওইদিন ম্যাচ শুরুর ৫১ মিনিট আগে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কনমেবলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বিধিভঙ্গ করা চার আর্জেন্টাইন ফুটবলারের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানায় ব্রাজিল সরকার। কিন্তু আর্জেন্টিনা দল ততক্ষণে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে চেঞ্জিং রুমে অবস্থান করায় কনমেবল এ নিয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এরপর যথাসময়ে ম্যাচ শুরু হলে পাঁচ মিনিটের মাথায় মাঠে ঢুকে খেলা বন্ধ করে দেন এনভিসা ও পুলিশ সদস্যরা।
বিএসডি/এএ