বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড মানেই যেন অপ্রত্যাশিত সব হার। ১৯৯২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ, ২০১৫ বিশ্বকাপেও এই বাংলাদেশের কাছেই ধরাশায়ী হওয়া। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড রেহাই পেলো না। এবার আফগানিস্তানের কাছে ৬৯ রানের পরাজয়। এবারের বিশ্বকাপে যা প্রথম অঘটন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২৮৪ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে তারা। এমন এক পরাজয়কে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তবে এতেও নিস্তার নেই তার। বরং নিজ দেশের গণমাধ্যমের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।
স্কাই স্পোর্টসের খবরে ইংল্যান্ডের এই হারকে বলা হয়েছে বড় অঘটন হিসেবে। এমনকি এই হারকে টুর্নামেন্ট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অঘটন বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। ব্যাটারদের সমালোচনায় মুখর হয়েছে গণমাধ্যমটি। লিখেছে, হ্যারি ব্রুক তার সতীর্থদের দেখিয়ে দিয়েছে এই পিচে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়। একইসঙ্গে বেন স্টোকস ফিরে এলেও ব্রুক দলে থাকবেন এমন সম্ভাবনাও জোরালো করেছেন তিনি, এমনটাই ভাষ্য তাদের।
বিবিসিও মুখর হয়েছে ইংলিশদের সমালোচনায়। তাদের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হার বিশ্বকাপের সেরা অঘটন হিসেবেই স্বীকৃতি পাবে। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হার, ৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হার কিংবা ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের সঙ্গে এই ম্যাচ একই কাতারে থাকবে বলে মন্তব্য এসেছে।
ডেইলি মেইল আফগানদের বিপক্ষে এই হারকে উল্লেখ করেছে ‘অপমান’ হিসেবে। তাদের খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশন রীতিমত দুমড়ে গিয়েছে। এই টুর্নামেন্ট জমিয়ে তুলতে একটি ধাক্কা দরকার ছিল। তবে এই ম্যাচেই এমন কিছু হবে তা আশাতীত।
এমনকি বাকি ছয় ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের জয় নিয়েও শঙ্কা তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের জয় পেতে সংগ্রাম করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি।
বিএসডি / এলএম