ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৩ দিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তিনদিন আগে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেই তারা মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার পরে আমরা টেস্টগুলো করেছি, এর রিপোর্ট আমরা এখনও হাতে পাইনি। তবে ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে, ওই রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছিল।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, মারা যাওয়া ওই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ও কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে বাংলাদেশেও উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যেই দুজন আক্রান্ত হওয়ার খবর এলো।
বারডেম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলতে বিশেষ ধরনের অণুবীক্ষণিক ছত্রাকের সংক্রমণজনিত বিভিন্ন রোগকে বোঝায়। এই ছত্রাক সর্বব্যাপী- মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে থাকলেও সংক্রমণ ক্ষমতা এতই কম যে এক লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র এক-দুই জনের দেহে এই জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। কোনো কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যেটা লাখে ২০ থেকে ৩০ জন হতে পারে।