নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা ক্ষমতায় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার উপর নির্ভরশীল ছিলেন তিনি। এজন্য কেউ ভারতের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতেন না।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এমপি থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পর্যন্ত কেউই শেখ হাসিনার গুম থেকে রেহাই পাননি। এগুলো সব করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে। এত দুর্নীতি-লুটপাট করেছেন, কাউকে টু-শব্দ পর্যন্ত করতে দেননি। শেখ হাসিনা হয়ত জানতেন কোনোদিন পালিয়ে যেতে হতে পারে তার, তাই তিনি তার কাছের আত্মীয় ও লোকদের দিয়ে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
বিএনপির এই বলেন, শেখ হাসিনা মেধাবীদের কখনো পছন্দ করতেন না, তার ছাত্রলীগকে দিয়ে মেধাবীদের প্রাণ নিতেন। কারণ মেধাবী দেশ চালাবে এটা হাসিনার পছন্দ নয়। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ, হাসিনা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে মেধাবীদের প্রাণ নিত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে কেউ যদি টু শব্দ করে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই— এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল শেখ হাসিনা। এই কারণেই আবরারকে তারা হত্যা করল। কত কাহিনি আমরা প্রতিদিন শুনেছি, শুধু কি আয়না ঘর? আমরা তো শুনেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৈরি করা আয়না ঘরের কথা।
ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে এখনো বাতিল করা হচ্ছে না কেন— উপদেষ্টা পরিষদের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন করেছি। জুলাই বিপ্লবের ফসল হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। যারা এই ধরনের নিপীড়নের এক একটা কেন্দ্র তৈরি করেছিল, হিংস্র কুকুর দিয়ে যারা কামড় দেয়াত। তাদের অংশ তো এখনো রয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের আপনারা এখনও বাতিল করছেন না কেন? এরাও তো সেই আওয়ামী লীগের গুন্ডা, পান্ডা, সন্ত্রাসী। এলাকার মধ্যে তারাই তো বর্বরতা চালিয়েছে। আপনাদের ভয় কীসের?
গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতার কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, গার্মেন্টসের মালিক যারা শেখ হাসিনার অত্যন্ত সুবিধাভোগী, তাদের গার্মেন্টসের লোকেরা এসে অন্যান্য নিরপেক্ষ শ্রমিকদের এখানে হামলা করছে। নজরুল ইসলাম কে? সালাম মুর্শিদি কে? এরা কি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নয়? এরা কি আওয়ামী লীগের এমপি নয়? এদের গার্মেন্টস থেকে এসে কৃত্রিমভাবে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে। যেন ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।