আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশি মানুষ। আর এতেই ধারাবাহিকতা ভেঙে দেশটিতে ফের বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৫ আগস্ট) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজারের বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ৩৬৬ জনে।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৬৪৮ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল সাড়ে তিনশো। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৮ জন।
এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে বুধবার ভারতে উঠে এসেছে উল্টো চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে টানা কয়েকদিনের ধারাবাহিকতা ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ফের বেড়েছে।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৭ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জনে।
বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দেশটির মোট শনাক্ত রোগীর ১ শতাংশেরও কম। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার এই হার দশমিক ৯৯ শতাংশ (০.৯৯%)।
এদিকে বুধবার ভারতে সুস্থতার হার কমেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ। টানা ৩০ দিন ধরে দেশটিতে এই হার ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, আগস্ট মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ভারতে মোট ৫১ কোটি ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৫৫ জনের।