ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, নতুন শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হলে আগামী বছর থেকে কর্মীরা সপ্তাহে চার দিন কাজ করবেন। এখন তাঁরা সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করেন। তবে কর্মীদের ওই চার দিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। কারণ, শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করার যে নিয়ম রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে।
এই শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হলে কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এর বদলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভিডেন্ট ফান্ড বেশি দিতে হবে।
প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে কাজ করছেন—এমন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, নতুন এই আইন কর্মজীবীদের দৈনন্দিন বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে বড় ধরনের বদল আনবে। নতুন আইন অনুসারে প্রতি মাসে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য বরাদ্দ বাড়বে। কিন্তু তাঁদের হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমবে।
নতুন শ্রম আইনে কর্মীরা মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন মাসিক বেতন হিসেবে। বাকিটা মূল বেতন ও ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্সের (ডিএ) শতকরা হার হিসেবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকবে।
ভারতের শ্রম আইনের আওতায় নতুন আইনগুলো চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির অন্তত ১৩ রাজ্য নতুন আইনগুলো নিয়ে তাদের খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই শ্রম আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
বিএসডি/ এলএল