আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝি যে তছনছ পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল ভারতে, দিন দিন তার উন্নতি হচ্ছে। গত প্রায় চার মাস ধরে দৈনিক সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে দেশটিতে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৩ জন, যা গত ২০৬ দিনে সর্বনিম্ন।
এছাড়া, শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪০ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন, যা আগের দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।
বৃহস্পতিবারের দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪৬৩ এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ২৭৭ জনের।
ভারতের ২৮ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে আছে কেরালা। শুক্রবারও সেই ধারবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবারের বুলেটিন বলছে, ভারতের সর্বদক্ষিণের এই রাজ্যটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৪৪ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১২০ জন।
দৈনিক সংক্রমণে কেরালার পরেই আছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬২০ জন।
এছাড়া, শুক্রবার ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ হাজার ৬৬ জন।
দেশটিতে বর্তমানে করোনা পজিটিভ শনাক্তের দৈনিক হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এবং এই রোগ থেকে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ভারতের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৫ জন এবং এ রোগে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪০৮ জনের।
পাশাপাশি, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৭০৩ জন।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। তারপর থেকে এ পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রায় ৯৪ কোটি ডোজ করোনা টিকা ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।