আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গোবর ও গোমূত্রের হাত ধরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, গরু, গোবর ও গোমূত্রেই লুকিয়ে রয়েছে আর্থিক উন্নতির চাবিকাঠি। শুধু প্রয়োজন সঠিক ভাবে প্রয়োগের।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে শিবরাজ সিং চৌহান একথা বলেন বলে রোববার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই ও সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার ভারতীয় পশু চিকিৎসক সংস্থার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সেখানে তিনি গবাদি পশু ও এর উপকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, গবাদি পশুর থেকে উপকারিতা পেতে হলে সমাজের প্রত্যেককেই অংশ নিতে হবে। সার্বিক উন্নতি এককভাবে কখনোই সম্ভব নয়।
তার দাবি, ‘আমরা যদি গরুকে কাজে লাগিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক তথা দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, তাহলে তা আসতে পারে গোবর এবং গোমূত্রের হাত ধরেই। বর্তমানে জ্বালানির জন্য কাঠের ব্যবহার কমাতে গোবরই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।’
অর্থাৎ শিবরাজ সিং চৌহানের দাবি, ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য গোমূত্র কিংবা গোবরকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর প্রয়োজন। তাই এই প্রকল্পে বিশেষজ্ঞদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে এর থেকে ক্ষুদ্র কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারেন, সেই রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার গোমূত্রের নানা উপকারিতার কথা তুলে অদ্ভূত সব দাবি করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টি বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। কখনও বলা হয়েছে, গোমূত্র পান করলে দূরে থাকে করোনাভাইরাস। এমনকি গোমূত্র পান করলে নাকি ক্যান্সার রোগীরাও সুস্থ হয়ে ওঠেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘গরুর দুধে সোনা’ তত্ত্ব নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। আর এবার গোবর ও গোমূত্রের হাত ধরে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের পথ বাতলে দিলেন মদ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশেই প্রথম গো-অভয়ারণ্যের সূচনা হয়েছে। যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। গরুদের রক্ষা করতে গতবছর গো-মন্ত্রিসভা (কাউ ক্যাবিনেট) গঠন করার কথা ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। স্বরাষ্ট্র, বন, পশুপালন-সহ সাতটি দফতর এই গো-মন্ত্রিসভার অংশ হবে।