বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
‘আমার দেহ, আমার সিদ্ধান্ত’ একটি উগ্র বিকৃত চিন্তা: ফরহাদ মজহার
ড. ইউনূসকে অস্ট্রেলিয়ার ৪১ এমপি-সিনেটরের চিঠি, নির্বাচন নিয়ে যা লেখা
৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন
আমরা পশু পরিবহন নিয়ে চিন্তিত : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
মানুষের ৩৩ শতাংশ রোগ হয় ভেজাল খাদ্যে
উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, ফের অবস্থান কর্মসূচি এনবিআরে
দ. আফ্রিকার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির মত বিনিময়
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে খামেনির সংশয়
আইওআরএ-এর জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের সভায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ
জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় সরকার ভোটের কথা বলিনি : নাহিদ...
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
  লাইফস্টাইল ডেস্ক,

আশি বছর বয়সেও প্রতিদিনের মতো আজ সকালে সাইমন তার স্ত্রী গুনিলার জন্য এক কাপ কফি বিছানার পাশে এনে আস্তে আস্তে ডাকছে, গুনিলা, তোমার জন্য কফি এনেছি। গুনিলা এই প্রথম সাইমনের নিজ হাতে তৈরি কফি মুখে দিতে পারেনি। গুনিলা কখন হঠাৎ ঘুমিয়ে গেছে শান্ত হয়ে সাইমন তা বুঝতে পারেনি।

সাইমন সর্বহারা, কারণ তাদের বাষট্টি বছরের ভালোবাসার সংসারে হয়নি কোনো নতুন অতিথির আগমন। বহু বছর আগে গুনিলার সঙ্গে সাইমনের দেখা হয়েছিল সুইডেনের ছোট্ট একটি লেকের ধারে। চিত্রশিল্পী সাইমন লেকের ধারে বসে গুনিলার পুরো দেহটার চিত্রাঙ্কন করেছিল একটি পাথরের উপর। গোসল শেষে উঠতে পথে গুনিলার নজর কেড়ে নিয়েছিল এই সুদর্শন চিত্রশিল্পী সাইমন।

গুনিলা একজন স্কুল শিক্ষক, সে সাইমনের আঁকা নিজের ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয় এবং সাইমনের হাত ধরে সেই যে তার প্রেমে বন্দি হয়েছে আর কোনোদিন মুক্তি পায়নি। তবে তাদের বিয়ের পর একবার সংসারে ঝড় উঠেছিল বিচ্ছেদের।

গুনিলা সাইমনের জীবন থেকে সরেও গিয়েছিল। ঐ যে কথায় বলে ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন! ঠিক তেমনটি ঘটেছিল তাদের জীবনে। গুনিলা স্কুল শিক্ষক, ক্লাসে একটি ছেলে প্রতিদিনই দেরি করে আসে, বেশ অমনোযোগী। মাঝেমধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়ে বেঞ্চের উপর। ক্লাসের কেউই ছেলেটিকে পছন্দ করে না বললেই চলে।

গুনিলা সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটির বাবা-মার সঙ্গে দেখা করার। সে একজন শিক্ষক হিসেবে মনে করে এটা তার নৈতিক দায়িত্ব। যে কথা সেই কাজ। ক্লাসশেষে ছেলিটিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যেতে যেতে পথে অনেক পারিবারিক বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনার মাঝে। ও, ছেলেটির নাম ডানিয়েল, বয়স আট বছর। মা মারা গেছে জন্মের পর, বাবা নতুন করে বিয়ে করেছে।

সংসারে ডানিয়েল একটি বোঝা কিন্তু দায়ভার এড়াবার উপায় না থাকার কারণে ডানিয়েলকে তারা যতটুকু না করলেই নয় তার বেশি কিছু করে না। যার ফলে ডানিয়েল অঙ্কুরে বিনাশ হতে চলেছে। গুনিলা ডানিয়েলের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে, ডানিয়েলের বিষয় আলোচনা করে, কিন্তু তেমন আশাপূর্ণ ফল না পেয়ে ফিরে আসে বাড়িতে। বাড়িতে এসে সাইমনের সাথে ডানিয়েলের বিষয়টি আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে তারা ডানিয়েলের দায়ভার নেবার এবং নিজেদের সন্তানের মতো লালন পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা নিঃসন্তান বলেই সহজে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ডানিয়েলের বাবা-মাকে প্রস্তাবটি দেওয়া মাত্রই তারা নারাজ হয় এবং অপমানবোধ করে। শেষে ডানিয়েলকে সে স্কুল থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে সুদূর আমেরিকায় অন্য এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গুনিলা ডানিয়েলকে মনে মনে তার মাতৃত্বের স্থানটিতে জায়গা করে দিয়েছে। ডানিয়েলের শূন্য স্থান পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। শেষে গুনিলা স্কুলের চাকরি ছেড়ে অনেক দূরে চলে যায়, ফলে সাইমন একা হয়ে যায়।

সাইমন কেন যেন বাঁধা দিলো না গুনিলার যাবার বেলায়। বরং সেদিন গুনিলাকে বলেছিল, আমি তোমাকে প্রথম দেখেই পছন্দ করেছি, তোমাকে প্রথম দেখার পর বহিঃপ্রকাশ আমার চিত্রাঙ্কন যা দেওয়ালে ঝুলছে। যদি তুমি সুখী হও অন্য কারো সাথে তবে চলে যাও। গুনিলা সবকিছুর পরও বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। শূন্যতায় ভরা বাড়িতে বসে বসে সাইমন একের পর এক চিত্রাঙ্কনে ভরে ফেলতে লাগল তার গ্যালারি।

সাইমন নামকরা চিত্রশিল্পী, তার খ্যাতি শুধু দেশ নয় বিশ্বজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে। বছরখানেক যেতে হঠাৎ একদিন গুনিলা সাইমনের জীবনে ফিরে এল, সেই যে এলো আর গেল না।

 

সাইমন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বয়স হয়েছে, কখন শেষ নিঃশ্বাসটুকু বেরিয়ে যায়, এমন অবস্থায় শুয়ে শুয়ে এসব গল্প করছে জেসিকার সঙ্গে। জেসিকা পার্ট টাইম হাসপাতালে জব করে পড়ালেখার ফাঁকে। জেসিকার সখ চিত্রশিল্পী হবে, সাইমনের মতো একজন চিত্রশিল্পীর সেবা করা, তার জীবনের সমস্ত ভালো-মন্দ, হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহের গল্প জানার সৌভাগ্য কয়জনের হয়?

জেসিকা স্বাভাবিকভাবে সাইমনের সঙ্গে তার ব্যক্তিজীবনের অনেক কিছু শেয়ার করে। আজ জেসিকার মন খারাপ, খুব খারাপ। সাইমন বিষয়টি লক্ষ করেছে কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করছে না। এদিকে জেসিকাও কিছু বলছে না। একসময় সাইমন নিজ থেকেই বহু বছর আগে তার স্ত্রী গুনিলার সাথে মান-অভিমান নিয়ে যে মনোমালিন্য হয়েছিল তার উপর গল্প করতে শুরু করে। গল্প শুনতে শুনতে কোনো এক সময় জেসিকাও তার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে সাইমনের সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে। জেসিকার বয়ফ্রেন্ড টমাস, সে একজন নাম করা বুল টামার (bull tamer)।

বুল টামার কী? ষাঁড়ের ঘাড়ে বসে যে ষাঁড়কে নানাভাবে বিরক্ত করে তাকে বুল টামার বলে। একটি নির্দিষ্ট সময় ষাঁড়ের প্রচণ্ড লাফালাফির পরও যদি বুল টামার ষাঁড়ের ঘাড়ে বসে থাকতে পারে তখন সে জয়ী হয়। এটা ভীষণ একটি ভয়ঙ্কর খেলা। অনেক সময় রাগান্বিত ষাঁড় যখন তার ঘাড় থেকে বুল টামারকে মাটিতে ফেলে তখন শিং বা পা দিয়ে বুল টামারকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। টমাসের বাবা একজন খ্যাতনামা বুল টামার ছিলেন।

দীর্ঘ সময় ষাঁড়ের ঘাড়ে বসে ষাঁড়কে ক্লান্ত করতে যে পারদর্শিতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন সেটা ছিল বিরল। তবে অল্প বয়সেই কোনো একদিন ষাঁড়যুদ্ধের ময়দানে ষাঁড়ের শিংয়ের গুতোয় অকালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। টমাস ঠিক বাবার পেশাটি বেছে নিয়েছে, যা টমাসের মাকে প্রতিনিয়ত স্বামীর অকাল মৃত্যুর কথাই মনে করিয়ে দেয়। জেসিকা সাইমনের সঙ্গে সমস্ত কথা একের পর বর্ণনা করে চলছে।

জেসিকা হারাতে চায় না টমাসকে যেমনটি হারিয়েছে টমাসের মা তার স্বামীকে। জেসিকা টমাসকে নিষেধ করেছে সে যেন ষাঁড়যুদ্ধ প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেয়। টমাস জেসিকার কথায় রাজি না হওয়ায় সম্পর্কের ইতি টেনেছে সে, যার ফলে জেসিকার মন খারাপ।

সাইমন মন দিয়ে সব কথা শোনার পর শুধু এতটুকুই বলে সেদিন জেসিকাকে, ত্যাগের মধ্যেও রয়েছে জীবনের ভালোবাসা তবে সবাই সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পারে না। জেসিকা কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে পথে টেলিফোনে জানতে পারে সে নিউইয়র্ক আর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এটা তার জন্য একটি খুশির খবর। টমাস যখন তার পেশা থেকে সরতে রাজি হয়নি তখন সে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিউইয়র্কে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঘটনাটি টমাসের মা জানতে পারে এবং টমাসকে নতুন করে বোঝাতে চেষ্টা করে। বাবা টমাস, ষাঁড়ের পিঠে বড় জোর আট সেকেন্ড বা তারচেয়ে কিছু বেশি সময় বসে থাকা সম্ভব। কিন্তু জেসিকার সঙ্গে তোমার সারা জীবনের সম্পর্ক। সেখানে থাকবে পরস্পরের গভীর ভালোবাসা। সেটা চিন্তা করে তুমি ষাঁড়যুদ্ধ খেলা ছেড়ে দাও। টমাস মায়ের কথা সেদিনও রাখেনি।

যাইহোক চলছে জীবন যার যার গতিতে। জেসিকা নিউইয়র্কে মুভ করেছে। সাইমন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। মৃত্যুকালে সে তার সমস্ত চিত্রাঙ্কন ডোনেট করেছে এক শর্তে যেটা সাইমনের উকিলই শুধু জানে। এদিকে টমাস এই প্রথম ষাঁড়ের ঘাড়ে দুই মিনিট বসে ষাঁড়কে ক্লান্ত করে তখনকার সময় সর্বকালের সেরা রেকর্ড করেছে যা জেসিকার নজর কেড়েছে নিউইয়র্কের একটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে।

টমাসের এমন একটি আনন্দঘন মুহূর্তে সে মিস করছে জেসিকাকে। টমাস হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ষাঁড়যুদ্ধ খেলা ছেড়ে দিবে। টমাস সাইমনের চিত্রাঙ্কনের গ্যালারিতে নতুন চাকরি নিয়েছে। চলছে জীবন তার নিজ নিজ গতিতে।

কিছুদিন যেতে সাইমনের উকিল নোটিশ দিয়েছে সাইমনের সমস্ত সম্পত্তি নিলামে বিক্রি হবে, মৃত্যুর আগে সাইমনের লিখে রেখে যাওয়া উইলের ভিত্তিতে। কী লেখা আছে এই গোপনীয় উইলে সাইমোনের উকিল ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। বহু লোকের আগমন হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে। নিলামে নামি দামি চিত্রগুলো বিক্রি হবে চড়া দামাদামির মাধ্যমে এমনটি আশা নিয়ে সবাই সেদিন বসে আছে।

উকিল সাহেব এসে প্রথমে সাইমনের যে ছবিটি বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দিলেন সেটা ছিল সাইমনের আঁকা সেই লেকের ধারে বসে গুনিলার পুরো দেহটার চিত্রাঙ্কন, যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র এক হাজার ডলার। প্রসঙ্গত জেসিকা আর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বাভাবিকভাবে সেও সেদিন এসেছে সাইমনের আর্ট গ্যালারিতে, তবে সে জানে না সেখানে টমাস কাজ করে।

দামাদামি হচ্ছে না, কেউই আগ্রহ দেখাচ্ছে না গুনিলার ছবিটির জন্য। শেষে দাম কমতে শুরু করে। কোনো এক পর্যায়ে মাত্র পাঁচশো ডলার ধার্য করা হয়, তারপরও কেউ গুনিলার ছবিটি কিনতে রাজি হচ্ছে না। জেসিকা জানে কী চমৎকার হৃদ্যতা ও স্মৃতি জড়িত এই পাথরে আঁকা ছবিটির মধ্যে। হঠাৎ পিছন থেকে একটি সুদর্শন যুবক হাত তুলেছে, নিলামে পাঁচশ ডলারের বিনিময়ে গুনিলার ছবিটি কেনার জন্য।

সবার নজর পিছনে, জেসিকা পিছনে মুখ ঘোরাতেই বিস্ময়ে হতবাক, আরে, এ তো সেই টমাস যাকে সে একদিন ভালবেসেছিল। হঠাৎ দেখে চমকে মুগ্ধ হয়ে থমকে যায় জেসিকা, টমাস কেন এখানে এবং কেনই বা গুনিলার ছবিটি কিনল যেখানে অন্য কেউ কোনো আগ্রহ দেখাল না! যাইহোক গুনিলার অঙ্কিত চিত্র টমাসের কাছে বিক্রি হয়ে গেল।

 

পরবর্তী চিত্রাঙ্কনগুলো নিলামে দামাদামির অপেক্ষায় সবাই, এমন সময় উকিল সাহেব পনেরো মিনিট বিরতির ঘোষণা দিলেন। সবাই বসে আছে আর অপেক্ষা করছে পরবর্তী স্টেপের আশায়। এই ফাঁকে জেসিকা টমাসের সামনে এসে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। টমাস জেসিকাকে দেখছে স্মৃতির জানালা খুলে।

কেমন আছো, জিজ্ঞেস করল জেসিকা।

– আমি ভালো আছি, তুমি?

– হ্যা আছি।

– তুমি এখানে? তুমি তো কখনও চিত্রাঙ্কন পছন্দ করতে না। তা হুট করে গুনিলার ছবি কেন তুমি কিনলে?

– তোমার কথা মনে করে।

– আমার কথা মনে করে, মানে?

– একদিন তুমি বলেছিল সাইমনের জীবনের ভালোবাসার কথা এবং গুনিলার সঙ্গে তার প্রথম দেখার স্মৃতি।

– তোমার সে কথা মনে আছে?

-হ্যা।

– তা কীভাবে জানলে যে আজ সাইমনের সবকিছু নিলামে বিক্রি হবে?

– আমি এখানে কাজ করি।

একথা শুনে জেসিকা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল,

– মানে? তোমার ষাঁড়যুদ্ধ?

-সেটা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই।

– ওহ!

হঠাৎ বিরতির সময় শেষ হয়ে গেল। সবাই যার যার জায়গায় গিয়ে বসতেই উকিল সাহেব সাইমনের লেখা উইলটি পড়তে শুরু করলেন, যে গুনিলার চিত্রাঙ্কন কিনবে সেই আমার সমস্ত আর্ট গ্যালারির দায়ভার এবং মালিকানা লাভ করবে।

উকিলের উইলনামা পড়া শেষ হতেই সবাই হতবাগ! বলে কী? কীভাবে এটা সম্ভব? নানাজনের নানা প্রশ্ন কিন্তু উত্তর নেই কোথাও। তাহলে কি টমাস সব জানত? সে জানবে কী করে। সে আর্ট গ্যালারিতে চাকরি নিয়েছে সাইমনের মৃত্যুর পর। What a coincidence!

জেসিকা নিঃশব্দে নীরবে তাকিয়ে আছে টমাসের দিকে। টমাস জেসিকাকে জড়িয়ে ধরে শুধু বলল তোমাকে ঘিরে ভালোবাসার জাল বুনেছিলাম। কিন্তু তোমাকে হারিয়ে শুধু অনুভবে স্মৃতিটুকু নিয়ে তোমার পছন্দের জায়গা সাইমনের আর্ট গ্যালারিতে চাকরি নিয়েছি। কারণ একটিই, হয়তো কোনো একদিন তুমি এখানে আসবে।

 

সাইমনের জীবনের ভালোবাসা ছিল তার গুনিলাকে ঘিরে আর টমাসের জীবনের ভালোবাসা হলো জেসিকার জন্য গুনিলার চিত্রাঙ্কন কিনে।

 

বিএসডি/আইপি

০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
একটা মুমূর্ষু আত্নার পুনর্জাগরণ ঘটায় সাহিত্য
পরের পোস্ট
শান্তি মিশনে ধর্ষণ: এসপির বিরুদ্ধে নারী পুলিশের মামলা

সম্পর্কিত পোস্ট

নতুন বছরের রেজোলিউশনে লেগে থাকার ৫ উপায়

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না? জেনে নিন কী...

নভেম্বর ২২, ২০২৪

ওজন কমাবে এক চামচ মৌরিদানা

নভেম্বর ২২, ২০২৪

থাইরয়েডের জন্য ৬টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

অক্টোবর ২২, ২০২৪

ফাইবার সমৃদ্ধ যে খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত

অক্টোবর ২১, ২০২৪

যেসব শুকনো ফল ইউরিক অ্যাসিড কমায়

অক্টোবর ১৪, ২০২৪

পেঁপের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না যে ৩ খাবার

অক্টোবর ১৪, ২০২৪

এই ৫ দক্ষতা আপনাকে সমৃদ্ধ করে তুলবে

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪

হৃদরোগে আক্রান্ত, ইলিশ মাছ খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য...

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

প্রতিদিনের ক্ষতিকর ৫ অভ্যাস

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    শেখ হাসিনা মানুষ হিসেবে কেমন?

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English