নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাহবুর রহমানের নামে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভূমি অফিসে চাকুরী করার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে জমি দখল সহ বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছ তার বিরুদ্ধে। তিনি ভূমি জালিয়াতি দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয়দের কাছে তিনি ভূমি দস্যু মাহবুর নামেই সমাধিক পরিচিত।
জানা যায়, গ্রামের অসহায় লোকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দলিল হস্তগত করে নিজের নামে বানিয়ে কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেন মাহবুর রহমান। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন সহকারী কর্মচারী হয়েও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অনুসন্ধানে জানা যায়, কসবা থানার মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চন্দ্রপুর গ্রামের জোবায়দা বেগমের স্বামীর পৈর্তৃক সূত্রে পাওয়া জমি জাল দলিল করে নিজের নামে খারিজ করেন মাহবুব রহমান। জমির জাল দলিল করার অভিযোগে জোবায়দা বেগম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক অফিস থেকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযোগকারী জোবায়দা রহমান বলেন, তার স্বামীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তাদের জমি তার দেবর তাজুল ইসলামের নিকট বর্গা দেন।
তাজুল ইসলাম অভিযুক্ত মাহবুর রহমানের পরামর্শে তাদের জমিতে লাগনো গাছ তিন লক্ষ টাকা বিক্রি করে তা আত্মসাত করেছেন। তাছাড়াও তার শাশুড়ির জমি বিক্রি করে তাদের অংশের টাকা না দিয়ে মাহবুব রহমান আত্মসাত করেন। তাছাড়াও মাহবুব রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের ব্যবসাসহ একাধিক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে নারি কেলেঙ্কারিসহ গরিব অসহায় মহিলাদের নামে মামলা করার অভিযোগ রয়েছে। সাবাশপুর ইউনিয়নে রয়েছে তার কোটি টাকার জমি। আরও রয়েছে চন্দ্রপুর মৌজায় অর্ধশত কোটি টাকার জমি।
স্থানীয় বাজারে দোকান, ফার্নিচারের শো রুম ছাড়াও স্ত্রী, ভাই এবং মামা ইসলাম সরদার এর নামে রয়েছে কোটি টাকার জমি। দুর্নীতির এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মাহবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যেগাযোগের চেস্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বিএসডি/আইকে