বর্তমান সময় ডেস্ক
আগামী ৫ জানুয়ারি ২০২২ পঞ্চম ধাপে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১ নং নশরতপুর ইউপিতে আপন চাচা-ভাতিজা ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চাচা মো. আব্দুর রহিম মোরগ ও ভাতিজা মো. ফয়জার রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
স্থানীয়রা জানান, চাচা এবারসহ তিনবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি এর আগে দুইবার নির্বাচন করে জয়লাভ করতে পারেননি। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। পরে তার ভাতিজাও প্রার্থী হয়েছেন। প্রথমে এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন তাদের মধ্যে সমঝোতা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই দুজনই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হন। আস্থা রাখছেন ভোটারদের ওপর।
একই ওয়ার্ডে চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ দেখতে ভোটাররা বেশ উৎসুক। তাদের বাইরে এ ওয়ার্ডে আরও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম হেলাল (ফুটবল), আসাদুল্লাহ আল গালিব (ভ্যানগাড়ি), রশিদুল ইসলাম (তালা) ও মোছা. সোবেদা বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা)।
উপজেলা নশরতপুর গ্রামের সুমন ইসলাম বলেন, চাচা এর আগেও দুই দুই বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। তিনি দুইবারই হেরে গেছেন। এবার দেখছি চাচার সঙ্গে ভাতিজাও দাঁড়িয়েছেন। কে জিতবে বলা যাচ্ছে না। চাচা-ভাতিজা ছাড়াও আমাদের ওয়ার্ডে আরও চারজন সদস্য পদে নির্বাচন করছে। প্রার্থী বেশি হওয়ায় নির্বাচনটা জমে উঠেছে।
একই গ্রামের টিটন ইসলাম বলেন, আপন চাচা-ভাতিজা সদস্য পদে লড়ছেন। ভোট কাকে দেবে সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।
চাচা মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই গণসংযোগ করছিরাম। তখন ভাতিজার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহ ছিল না। হঠাৎ করে সেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। এখন ভোটাররাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আশা করছি, এবার আমি জয়ী হবো। কারণ গত দুইবার অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি।
ভাতিজা ফয়জার রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে আগে থেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করি। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় দুজনই প্রার্থী হয়েছি।
নশরতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সরফরাজ হোসেন বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলায় আগামী ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচন। উপজেলার নশরপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে চাচা-ভাতিজাসহ আরও চারজন প্রার্থী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসএ