পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কৃষকের মৃত্যু নিয়ে নাটকীয়ভাবে মামলা দিয়ে প্রতিবেশিকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। ঘটনা সুত্রে জানাযায় ভাইজোড়া গ্রামের মৃত্যু শের আলী গাজীর ছেলে কৃষক মৃত্যু আঃ বারেক গাজী তার জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপন করে অন্য দিকে মৃত্যু ওয়াজেদ আলী হাং এর ছেলে ইউনুস হাং এর বীজতলা থেকে ঐ দিন বীজ চুরি হওয়ায় বারেক গাজীকে সন্দেহ করে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য ইউনুস হাং এর বাড়িতে আসতে বললে সন্ধার পরে আঃ বারেক গাজী প্রতিবেশী ইউনুস হাং এর বাড়িতে আসে , সেখানে এসে কথাবার্তার একপর্যায়ে বীজ চুরির সত্যতা না পাওয়ায় ইউনুস হাং বারেক গাজীকে একখানা পান বানিয়ে দিলে পান খেয়ে গল্প করতে থাকে এক পর্যায়ে হঠাৎ বারেক গাজী অসুস্থ হয়ে ঢেকুর দিতে থাকে,তার অসুস্থ দেখে ইউনুস হাং আব্দুল বারেক গাজীর ছেলে খলিল কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দেয় কিন্তু তিনি আসতে দেরি করায় স্হানীয় লোকজনের সহযোগীতায় তার চিকিৎসার জন্য গাড়ি নিয়ে এসে মঠবাড়িয়া রওনা হয় পথিমধ্যে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করেন।
তখন মৃত্যু ব্যক্তিকে বাড়িতে নিয়ে দাফন-কাফনের পরে তিন দিন পরে দোয়া অনুষ্ঠান ও করা হয়। অন্যদিকে কিছু কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মৃত্যু ব্যক্তির ভাই আঃ হালিম গাজীর সাথে ইউনুস হাং এর জমিজমার বিরোধ থাকায় আঃ হালিম গাজী বাদী হয়ে ইউনুস হাংকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য দাবী জানান।
এতে পিরোজপুর পি,বি,আই কর্মকর্তা কবির হোসেন সরজমিনে তদন্ত করে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান কালে এলাকাবাসী জানান আঃ বারেক গাজী ইরি ধানের বীজ রোপন নিয়ে কথা বলার জন্য ইউনুস হাং এর বাড়িতে আসে সেখানে এসে পান খেয়ে হয়তো তিনি অসুস্থ হয়ে পরে, আরো জানান বারেক গাজী পূর্ব থেকেই টিভি রোগে আক্রান্ত ছিলো এবং তিনি,বয়োবৃদ্ধ মানুষ, অসুস্থ হওয়ার পরে এলাকার লোকজন তার চিকিৎসার জন্য গাড়ি ডেকে মঠবাড়িয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করেন অসুস্হ হওয়ার পরে ও তিনি দীর্ঘক্ষন জীবিত ছিলেন এবং তার স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে বলে আমারা ধারনা করেছি। এখন কে বা কাহারা ইন্ধন দিয়ে পূর্ব বিরোধ নিয়ে ইউনুস হাংকে বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়তো ফাঁসাতে চেয়েছে। আমরা এলকাবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নুরুল ইসলাম বাদল বলেন আদালতে মামলা হয়েছে পি,বি আই তদন্ত চলছে, রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসডি/মাসুম ফরাজি/আইপি