মাসুম ফরাজি, পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তিশান নামের এক যুবকের হুমকির মুখে নাজমা নামের অসহায় এক নারী। এ ব্যাপারে নাজমা বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নাজমা বেগম তার একমাত্র মেয়ে মরিয়ম আক্তার সারমিন কে নিয়ে খাগড়াছড়ি বসবাস করতে ছিলেন। এদিকে পূর্ব পরিচয় সূত্রে মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের আসাদুল আলম লাবুর ছেলে রিফাদুল আলম তিশান খাগড়াছড়ি গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা কলাকৌশলে ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে মরিয়ম আক্তার সারমিন কে দশ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে বিবাহ করে। বিবাহের পরে জোরপূর্বক সারমিন কে নিয়ে মঠবাড়িয়া বসবাস করার কথা বলে চলে আসে। তখন নাজমা বেগম স্থানীয় খাগড়াছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অত্র থানার অফিসার ইনচার্জ তিশানের সাথে কথা বললে শাশুড়ী নাজমা বেগমকে ও খাগড়াছড়ির বাসা ছেড়ে সকল মালামাল নিয়ে মঠবাড়িয়া আসার কথা বলে তিশান। এমনকি মালের গাড়ি ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিশান। তিশানের কথা মতো নাজমা আক্তার সকল মালামাল নিয়ে মঠবাড়িয়া আসার পরে আত্মগোপনে গিয়ে তিশান বিভিন্ন সময়ে ফোনের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে নাজমা বেগমের মঠবাড়িযায় কোনো বাসাবাড়ি না থাকায় কিছু মালামাল নাজমা বেগম বিক্রি করে গাড়ি ভাড়া দিলেও বাকি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিশানের বাড়িতে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে নাজমা বেগম তার মেয়ের সন্ধান না পেয়ে সব কিছু হাড়িয়ে পাগলের মতো মেয়ের সন্ধানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে নজমা বেগম প্রশাসনের কাছে তার মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিশানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।