বিএসডি অনলাইন
নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ। এই যুক্তি দেখিয়ে তাকে স্বেচ্ছায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ কৌশিক চন্দ নিজেই নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর রায় ঘোষণা করলেন। সেই সঙ্গে মামলাকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করে কলকাতা হাইকোর্ট।বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্যই জরিমানা করা হয়েছে। ওই জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে রাজ্য বার কাউন্সিলে, যা পরবর্তীকালে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এই মামলা কোন বেঞ্চে যাবে, ‘মাস্টার অব রোস্টার’ হিসেবে তা ঠিক করবেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি চন্দ স্পষ্ট জানান, তার বিরুদ্ধে মামলাকারীর পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার জন্য তিনি সরছেন না। বরং, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণেই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একই সঙ্গে রাজ্যে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করেন কৌশিক চন্দ। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোন একটি দলের অভিযোগকে এত বড় করে দেখার কিছু নাই। এমন অভিযোগে বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যান না। গত ২৪ জুন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই নিয়ে প্রায় একঘণ্টা কোর্টে সওয়াল করেন। তার যুক্তি ছিল, যেহেতু কৌশিক চন্দ অতীতে বহু মামলা লড়েছেন বিজেপির হয়ে, তাই তিনি এই মামলায় রায় দান করলে মানুষ তা ভালোভাবে নেবে না। নিজের যুক্তির সপক্ষে বিজেপি যোগের প্রমাণও তুলে ধরেন সিঙ্ঘভি। মামলা অন্য এজলাসে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।