করোনাভাইরাস মহামারির কারণে লকডাউন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড তুলনামূলক স্থবির থাকার পরও মে মাসে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সর্বোচ্চ ছিল। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া) ও স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওসানোগ্রাফির বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞানীরা হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউনা লোয়াতে নোয়ার আবহাওয়া স্টেশনে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রার ভিত্তিতে এ তথ্য জানান। এতে দেখা গেছে, ৬৩ বছরের মধ্যে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সর্বোচ্চ।
গত মাসে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ছিল ৪১৯ পার্টস পার মিলিয়ন। ২০২০ সালের মে মাসে এটি ছিল ৪১৭ পার্টস পার মিলিয়ন।
নোয়ার গ্লোবাল মনিটরিং ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী পিয়েটার ট্যানস এক প্রতিবেদনে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কার্বন ডাই-অক্সাইড। পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই সচেতন হতে হবে।
ট্যানস আরও বলেছেন, প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড যোগ করে আমরা পরিবেশ দূষিত করছি।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনারোধে লকডাউন আরোপের মধ্যেও বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ সময় হওয়া দাবানলের কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে পারে।
ট্যানস বলেছেন, হাওয়াইতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা পরিমাপে প্রভাব পড়েনি। কারণ সেখানকার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে নোয়ার আবহাওয়া স্টেশন অনেক দূরে।