নিজস্ব প্রতিবেদক,
গার্মেন্টস খোলার খবরে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। কঠোর লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানা কৌশলে যাত্রীরা রাজধানী ঢাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অনেকে কোনো ধরনের যানবাহন না পেয়ে, পায়ে হেঁটেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউনে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকা বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস টার্মিনাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
তবে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন না থাকায় রাজধানী পর্যন্ত এতো দূরের পথ কিভাবে তারা পৌঁছাবে, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচলরত পণ্যবাহী ট্রাকের পথরোধও করেন তারা।
খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক করে।
তবে তারপরও যে যেভাবে পারছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চেপে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছেন।
এ সময় পোশাক শ্রমিকরা জানান, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১ আগস্ট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি আর লকডাউন উপেক্ষা করেই তাদের রাজধানীমুখী হতে হচ্ছে।
রবিউল নামে এক পোশাক শ্রমিক জানান, বাসসহ কোনো গণপরিবহন না থাকায় দ্বিগুণ খরচে বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশালে এসেছেন। এখন এখানে এসে কোনো যানবাহন না পেয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছেন।
পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি সুরাহা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য শ্রমিক রাজধানীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদুল আজহার সময় ৮ দিন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায়, পোশাক শ্রমিকরা ওই সময়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। ‘লকডাউনেও’ কারখানা খুলে দেওয়ার সিন্ধান্তে সেই পোশাক শ্রমিকরাই পড়েছেন এখন বিপাকে।
এদিকে নথুল্লাবাদসহ নিজেদের আওতাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব বড়ুয়া।
বিএসডি/এমএম