মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের শিবচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ফকির ও তার ছেলে সুমন ফকিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, শিবচরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবুল ফকির ও তার চাচাতো ভাই রাসেল ফকিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। শনিবার ন্যায্যমূল্যের চাল দেওয়ার লাইনে বাবুলের সমর্থক ফিরোজ ফকিরের সঙ্গে কলম খা নামে রাসেলের পক্ষের এক লোকের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকেলে একজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে ইউনিয়নের শিবচর গ্রামের কাজীর মোড় এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল, তার ছেলে সুমনসহ বেশ কিছু লোক তার (বাবুল) ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। হঠাৎ সুমন বাইরে বের হলে একদল লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। সুমনের চিৎকারে বাবুলসহ কয়েকজন বাইরে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ফকির বলেন, আমার চাচাতো ভাই রাসেল, তার লোক আকবরসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্রসহ আমার ছেলের ওপর প্রথম হামলা চালায়। ওকে রক্ষা করতে গেলে ওরা আমার ওপরও হামলা করে। মারা গেছি ভেবে ওরা আমাকে ফেলে রেখে যায়। ওরা আমার স্ত্রী ও বোনকেও মারধর করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল ফকির বলেন, চেয়ারম্যানের ওপর হামলার সময় আমি ছিলাম না। চেয়ারম্যানের ছেলে আগে আমার লোককে মেরেছে। পরে আমিও ওদের এক লোককে থাপ্পড় দিছি। এরপর ওরা থানায় অভিযোগ দেওয়ায় আমি সরে গিয়েছিলাম। আমার পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালাতে যাওয়ায় তারা ঘটনাটি ঘটাতে পারে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, আধিপত্য নিয়ে এটা তাদের দীর্ঘ দিনের পারিবারিক বিরোধ। সেই সূত্র ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিএসডি/এসএসএ