নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ষায় হৃদয়ের ব্যাকুলতা, আনন্দ, অভিমান, অন্তর্গত দ্বন্দ্ব, দ্রোহ, প্রেম আর বিরহের স্নিগ্ধ স্পর্শ—আষাঢ়ের ঝলমলে সন্ধ্যায় সুরের মায়াজাল ছড়ালেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী শামা রহমান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশের কবিতার ছন্দে তাকে সঙ্গ দিলেন সংগীত পরিবেশনা এবং অভিনেতা, নির্মাতা ও সব্যসাচী শিল্পী আফজাল হোসেন। ভিন্নধর্মী এই আয়োজন ছিল বর্ষার সৌন্দর্য, গানের সুর আর আবৃত্তির আবেশে পরিপূর্ণ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে ‘মায়া-বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এম ডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ। গান ও কবিতার যুগলবন্দীতে তন্ময় ছিলেন দর্শকেরা।
আয়োজনটি শুরু হয়েছিল বিকেল ৫টায় অতিথিদের আগমন ও অভ্যর্থনার মাধ্যমে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
আমাদের সাহিত্য, সংগীত আর লোকজ কাব্যে যে বর্ষা বারবার ফিরে আসে, এই অনুষ্ঠান যেন তারই এক সজীব স্মারক। গানের সুরে আর কবিতার ছন্দে তাই ফিরে ফিরে এসেছে সোঁদা মাটির ঘ্রাণ, নদীর উচ্ছলতা আর হারানো সময়ের মায়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- এম ডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক রুমানা চৌধুরী এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মালিক মোহাম্মদ সাঈদ।
এ সময় রুমানা চৌধুরী বলেন, শৈশবে বৃষ্টিতে ভেজার নিষ্পাপ আনন্দ, ঝড়ো হাওয়ায় উদ্বেলিত মন কিংবা সিক্ত কদম ফুল হাতে কল্পনায় হারিয়ে যাওয়া, এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই বর্ষা হয়ে ওঠে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসার এক নিঃশব্দ আহ্বান। আর ঠিক তখনই কানে বাজে কোনো গুনগুন, কোনো সুর, কোনো পরিচিত গান। বর্ষার এই সব আমেজ নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন। এম ডব্লিউর সাংস্কৃতিক যাত্রায় বরাবরের মতো এবারও মায়াকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দেন তিনি।
অন্যদিকে মালিক মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, মায়া ব্র্যান্ডের নিজস্ব দর্শন এবং বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার কথা। তার মতে, মায়া কেবল একটি স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড নয়, বরং রূপচর্চার এমন একটি অনুষঙ্গ যা প্রকৃতির বিশুদ্ধতা ও বাঙালির চিরায়ত নান্দনিকতাকে ধারণ করে।
তিনি জানান, মায়ার বেশিরভাগ ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ করা হয় নাটোরের বিখ্যাত ঔষধি গ্রাম থেকে। বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে, অনেক ক্ষেত্রেই সংগ্রহের চার ঘণ্টার মধ্যেই উপাদানগুলো প্রোসেস করা হয়। বরাবরের মতো আগামীতেও মায়া বাংলার নিজস্ব সৌন্দর্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের গণমাধ্যম, ব্যবসা, সংস্কৃতি ও শিল্পজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- সম্পাদক মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম, খ্যাতনামা ব্যবসায়ী অঞ্জন চৌধুরী, লেখক আনিসুল হক, অভিনেতা জাহিদ হাসান ও চঞ্চল চৌধুরী, এ কে আজাদ, মালিক মোহাম্মদ সাঈদ, স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ এবং সংস্কৃতি অনুরাগী আবুল খায়ের লিটু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আরিফিন শুভ, আফসান আরা বিন্দু ও রুনা খানসহ অনেকে।